যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে রাজশাহীতে পালিত হলো মহান বিজয় দিবস। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনি এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় দিনের কার্যক্রম, যা দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে।
সকাল থেকেই আনুষ্ঠানিকতা:
-
তোপধ্বনি ও পতাকা উত্তোলন: ভোর ৬টা ৪২ মিনিটে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। একই সময়ে জেলা পুলিশ লাইন্সে একত্রিশ (৩১) বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
-
শ্রদ্ধা নিবেদন: সূর্যোদয়ের পরপরই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
-
কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে: সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।
দিনব্যাপী অন্যান্য আয়োজন:
-
বিজয়মেলা: সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিজয়মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
-
বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা: দুপুরে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়।
-
প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: জেলা শিশু একাডেমী ও শিল্পকলা একাডেমি সহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
-
বিশেষ খাবার ও প্রবেশাধিকার: দিবসটি উপলক্ষে কারাগার, এতিমখানা ও হাসপাতালগুলোতে উন্নতমানের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া, জাদুঘর ও কেন্দ্রীয় উদ্যানে ছিল বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিজয় দিবস পালিত হয়:
-
পুষ্পস্তবক অর্পণ: ভোর সাড়ে ৬টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবং সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
-
প্যারেড ও আলোচনা সভা: সকাল ১০টায় সাবাস বাংলাদেশ চত্বরে বিজয় দিবস প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের র্যালি ও পোস্টার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট